পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন- ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও বর্তমানে দেশের বাজারে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। ছবি: সংগৃহীত |
ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩: ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাংলাদেশে ফের অস্থির হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ১ দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন- ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও বর্তমানে দেশের বাজারে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। কারণে দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়েছে। পাশাপাশি নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। ফলে এখন দাম বাড়া অযৌক্তিক। তাই তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে অসাধু মহল আবার পেঁয়াজের দাম নিয়ে ভোক্তাকে নাজেহাল করে ফেলবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বৃহস্পতিবার থেকে রপ্তানি বন্ধ কার্যকর হয়েছে। আর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ নোটিশ জারির আগে পেঁয়াজের গাড়ি লোড হয়ে থাকলে সেটি সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছে যাবে। অথবা পেঁয়াজ ভর্তি গাড়ি বা জাহাজ ভারতীয় পোর্ট অতিক্রম করলে সেটি এ নির্দেশনার আওতায় পড়বে না। এছাড়া কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারত সরকার চাইলে পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় ভোক্তারা পেঁয়াজ মজুদ করতে শুরু করেছেন। এছাড়া বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে ভোক্তারা ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই। কারণ দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ও আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়েছে। সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেওয়া।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
ট্রেড ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে।