টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা

বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তার ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘টাইম’ । বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি লিখেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক চার্লি ক্যাম্পবেল। এ জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তিনি। তখন ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। সেই সাক্ষাৎকার ও তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি। শেখ হাসিনাকে নিয়ে টাইম এর প্রতিবেদন টিতে গণভবনে থাকা শেখ হাসিনার ছবিও ছাপা হয়।


প্রতিবেদনে বলা শেখ হাসিনা হয়েছে, তিনি একজন বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা। যিনি গত এক দশকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ব্যাপক উত্থান ঘটিয়েছেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড। এর আগেও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। 

টাইম ম্যাগাজিনে চার্লি ক্যাম্পবেল লিখেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সময়ের হস্তক্ষেপকারী সামরিক শক্তি এবং ইসলামপন্থিদের সফলভাবে মোকাবিলা করেছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া কৃতিত্বের সঙ্গে দীর্ঘ সময় তিনি সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সময়ে শেখ হাসিনার ওপর ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। 

ম্যাগাজিনটি বলছে, ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বা ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী শেখ হাসিনা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়, তিনি বলেছেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী এ কারণে যে, আমার দেশের জনগণ আমার সঙ্গে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সদস্যের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবদান সবচেয়ে বেশি। দেশটি নিয়মিতভাবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস। এমনকি বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির শীর্ষ দেশও আমেরিকা।

ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে শেখ হাসিনার সম্পর্কের বিষয়টিকে প্রতিবেদনে আনা হয়েছে। ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা জানানো কয়েকজন উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতাদের একজন শেখ হাসিনা নিজেকে পশ্চিমাদের জন্য দরকারি প্রমাণ করেছেন। তিনি প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয়ও দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form