মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে: ক্রিপ্টোগ্রাফির সাথে মৌলিক সংখ্যার সম্পর্ক

মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে

মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে
মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে। ছবি: অ্যালেসিয়া কোজিক


মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে

মৌলিক সংখ্যা হল এমন একটি স্বাভাবিক সংখ্যা যাকে ১ এবং নিজে ছাড়া আর কোনও স্বাভাবিক সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, ২, ৩, ৫, ৭, ১১, ১৩, ১৭, ১৯, ২৩, ২৯, ৩১, ৩৭, ৪১, ৪৩, ৪৭, ৫৩, ৫৯, ৬১, ৬৭, ৭১, ৭৩, ৭৯, ৮৩, ৮৯, ৯৭ ইত্যাদি মৌলিক সংখ্যা।

মৌলিক সংখ্যার সংজ্ঞাটি খুবই সহজ, কিন্তু মৌলিক সংখ্যা সম্পর্কে অনেক রহস্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি এখনও জানা যায় না যে অসীম সংখ্যক মৌলিক সংখ্যা রয়েছে কিনা। এছাড়াও, মৌলিক সংখ্যার বিতরণ সম্পর্কেও অনেক রহস্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এটি এখনও জানা যায় না যে একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের ব্যবধানে কতগুলি মৌলিক সংখ্যা রয়েছে।

মৌলিক সংখ্যা গণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মৌলিক সংখ্যা ইংরেজি: Prime number. মৌলিক সংখ্যার ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই করা হয়, যেমন ক্রিপ্টোগ্রাফি, সংখ্যা তত্ত্ব এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান।

মৌলিক সংখ্যার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল:

  • ১ এবং নিজে ছাড়া মৌলিক সংখ্যার কোনও ভাগশেষ নেই।
  • ১ এবং নিজে ছাড়া মৌলিক সংখ্যাকে কেবলমাত্র একটি উপায়ে বিভক্ত করা যায়।
  • অসীম সংখ্যক মৌলিক সংখ্যা রয়েছে।
  • মৌলিক সংখ্যার বিতরণ অনিয়মিত।

ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং মৌলিক সংখ্যা

ক্রিপ্টোগ্রাফি হল তথ্যকে গোপন রাখার একটি বিজ্ঞান। এটি তথ্যকে এনক্রিপ্ট করে করা হয়, যার অর্থ হল তথ্যকে একটি অস্পষ্ট আকারে রূপান্তর করা যাতে এটি শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিরাই ডিক্রিপ্ট করতে পারে। ক্রিপ্টোগ্রাফির অনেকগুলি বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ পদ্ধতিই মৌলিক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে।

মৌলিক সংখ্যা ক্রিপ্টোগ্রাফির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এগুলি খুব কঠিন গণনা করা হয়। একটি বড় মৌলিক সংখ্যাকে গুণ করে একটি ছোট সংখ্যা গঠন করা সহজ, কিন্তু একটি ছোট সংখ্যাকে গুণ করে একটি বড় মৌলিক সংখ্যা গঠন করা কঠিন। এটিই পাবলিক-কি ক্রিপ্টোগ্রাফিকে নিরাপদ করে তোলে।

পাবলিক-কি ক্রিপ্টোগ্রাফি হল একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক পদ্ধতি যা তথ্যকে এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করার জন্য দুটি আলাদা কী ব্যবহার করে। একটি কী হল পাবলিক কী, যা যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। অন্যটি হল প্রাইভেট কী, যা শুধুমাত্র মালিকের কাছেই থাকে।

পাবলিক-কি ক্রিপ্টোগ্রাফিতে, তথ্যকে একটি বড় সংখ্যার দ্বারা গুণ করে এনক্রিপ্ট করা হয়। এই বড় সংখ্যাটি একটি মৌলিক সংখ্যা এবং একটি প্রাইভেট কী দ্বারা গঠিত। তথ্যকে ডিক্রিপ্ট করার জন্য, প্রাইভেট কী ব্যবহার করে এই বড় সংখ্যাটিকে বিভাজিত করা হয়।

পাবলিক-কি ক্রিপ্টোগ্রাফি অনেকগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন:

  • অনলাইন ব্যাংকিং
  • ইমেল সুরক্ষা
  • ওয়েব সার্ভিস সুরক্ষা
  • ক্রিপ্টোকারেন্সি

পাবলিক-কি ক্রিপ্টোগ্রাফি আমাদেরকে আমাদের তথ্যকে গোপন রাখতে এবং অনলাইনে নিরাপদ থাকতে সাহায্য করে।


মৌলিক সংখ্যা গণিতের একটি আকর্ষণীয় বিষয়। মৌলিক সংখ্যা সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি গণিতের বই বা অনলাইনে গবেষণা করতে পারেন। এবং জানুন গণিত।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form