টেড-এক্স গুলশান-২০২৩, ইনোভেশন ফর ইক্যুয়ালিটি, অনুষ্ঠানে শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশের প্রথম নারী স্পিকার হওয়ার গল্প তুলে ধরেন।
টেড-এক্স গুলশান-২০২৩ এ উপস্থিত বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত |
" ইনোভেশন ফর ইক্যুয়ালিটি" বা সমতার জন্য উদ্ভাবন - এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত হয়েছে টেডএক্স গুলশান-এর দ্বিতীয় আসর।
শনিবারের অনুষ্ঠানটিতে বক্তৃতা করেন দেশী-বিদেশি ১৬ জন বক্তা যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং সাবেক প্রধান সচিব আবুল কালাম আজাদ। টেড-এক্স গুলশান-২০২৩ অনুষ্ঠানটি অসাধারণ বক্তাদের একত্রিত করার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করেছে।
শিরীন শারমিন কিভাবে উদ্ভাবন ও সমতা পাবলিক সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন । তিনি বলেন, “উদ্ভাবন শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরেই সীমাবন্ধ নয় বরং এটি পাবলিক সেক্টরের পরিবর্তনের চালিকা শক্তি এবং নারীদের নেতৃত্বকে সুযোগ দেয়।”
সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, “সমতা অর্জনের জন্য উদ্ভাবনই আমাদের চালিকাশক্তি হওয়া উচিত এবং টেড এক্স গুলশান এই বার্তাটি ছড়াতে সক্ষমতার প্রমান হাজির করেছে।”
প্রাভিনা ইয়াগনামভাত, বোয়িং ইন্ডিয়ার চিফ অফ স্টাফ বলেন – উদ্ভাবনই সমতার চাবি, আমার জার্নিই প্রমান করে যে, একজনই পরিবর্তন আনতে পারে।
বিবিসি স্টোরিওয়ার্ক্স-এর কন্টেন্ট স্ট্রাটেজিস্ট অঙ্কিতা বকশী তার বক্তব্যে স্টোরিটেলিং এর ক্ষমতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন –আমাদের গল্পের মাধ্যমে আমরা বাধা অতিক্রম করতে পারি এবং সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে একত্রিত করতে পারি।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের যোগাযোগ প্রধান আবুল কাইয়ুম তার বক্তব্যে সমতা রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা এবং তার ব্যক্তিগত জার্নির কথা তুলে ধরেন। তিনি আর বলেন, "টেড-এক্স গুলশান (TEDxGulshan) পরিবর্তনমুলক আলোচনায় প্রভাবক হিসবে কাজ করেছ এবং আমি এতে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি"।
এছাড়াও বক্তা হিসেবে ছিলেন - এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এর ভাইস চ্যান্সেলর রুবানা হক; বাংলাদেশী গায়ক ও গীতিকার শায়ান চৌধুরী অর্ণব; কোকা-কোলা কোম্পানি, বাংলাদেশ-এর হেড অফ মার্কেটিং আবীর রাজবীন; এটুআই-এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট অ্যাক্সেসিবিলিটি ভাস্কর ভট্টাচার্য; বাংলাদেশী রেডিও জকি এবং টেলিভিশন উপস্থাপক কিবরিয়া সরকার; বিবিশি স্টোরি-ওয়ার্কস এর কন্টেন্ট স্ট্রাটেজিস্ট অঙ্কিতা বকশী; বাংলাদেশী ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান; প্রাক্তন সেনা কমান্ডো ও ট্রায়াথলিট ইমতিয়াজ ইলাহী; এবং ব্র্যাক-এর পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস সিনিয়র ডিরেক্ট মৌটুসী কবির।
টেড এক্স গুলশান (TEDxGulshan) এর আয়োজনে বক্তব্যের পাশাপাশি ছিলো গান ও বিনোদনের ব্যবস্থা। শায়ান চৌধুরী অর্ণবের একোস্টিক স্টোরিটেলিং এবং ঋতু রাজের গান মাতিয়ে রাখে আগন্তুকদের।
টেড এক্স গুলশান (TEDxGulshan) এর বিশেষ দিক ছিলো অন্তর্ভুক্তিমূলক নানাবিধ সুবিধা। বিশেষ চাহিদাপুর্ন ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহনের ছিলো বিশেষ ব্যাবস্থা এবং ছিল সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইন্টারপ্রেটর।
টেড এক্স গুলশান (TEDxGulshan)- এর কিউরেটর জনাব আশফাক জামান বলেন, "আমাদের আয়োজনের সফলতার মূল কৃতিত্ব বক্তাদের। বক্তারা তাদের বক্তব্যে তাদের অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে দর্শকদের অনুপ্রানিত করেছেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংস্কৃতি, নিজস্বতা এবং সামাজিক মেলবন্ধন বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে পারি।"
এ চমৎকার আয়োজনের নলেজ পার্টনার ছিলো লিড একাডেমী। টেড এক্স গুলশান (TEDxGulshan) আয়োজনে তারা একটি বিশেষ ভুমিকা পালন করেছে। লিড একাডেমি একটি বিশ্বমানের অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম যারা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্টেম ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতির দক্ষতা দিয়ে দেশ নির্মাতাদের সাহায্য করে। টেড এক্স গুলশান (TEDxGulshan) এর স্ট্রাজেটিক পার্টনার হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গোল্ড পার্টনার হিসেবে ছিলো কোকা-কোলা। সিলভার পার্টনার ছিলো ডেল্টা গ্রিন লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ড্যান ফুড লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিডেট। আইসক্রীম পার্টনার – পোলার আইসক্রিম, পিআর পার্টনার – ব্যাকপেইজ পিআর, টিকেটিং পার্টনার – টিকেটিফাই এবং ইয়ুথ এঙ্গেইজমেন্ট পার্টনার – ওয়াই এস এস ই।
টেড-এক্স ভিডিওগুলো টেড ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে। এদের মাধ্যমে ৫৩ মিলিয়ন মানুষের কাছে এ প্রেরণামূলক বক্তব্যগুলো পৌছে যাবে।