হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার’ সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পাওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলোর ওপর ভিত্তি করে সোলার সিস্টেমের এর সর্বাধিক ব্যবহারের উপায়সমূহ নিয়ে কাজ করছে।
হুয়াওয়ের কর্মশালায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ। ছবি: সংগৃহীত |
আইসিটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সোলার টেকনোলজি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে । সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ইনস্টলার বা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনকারীদের জন্য রাজধানী ঢাকার হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে এ কর্মশালার আয়োজন করে কোম্পানির সাউথ এশিয়া উইং। এতে ৭০ জনেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার, সোলার ইনভার্টার ইনস্টলার ও টেকনিশিয়ান অংশগ্রহণ করেন।
“হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টলার ওয়ার্কশপ ২০২৩” শীর্ষক এ ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা অন-গ্রিড ও অফ-গ্রিড সোলার সিস্টেমের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন। তারা সর্বোত্তম কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোত্তম ইনস্টলেশন অনুশীলনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান পান।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, “ঢাকায় শক্তির সহজলভ্যতা, স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে সৌরশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌরবিদ্যুৎ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দেশের নির্ভরতা হ্রাস করছে, পরিবেশগত অবক্ষয় কমাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে। এই ধরনের কর্মশালা আমাদের সৌর প্রযুক্তিতে নতুন মাইলফলক অর্জনে সহায়তা করে।”
কোম্পানির ইপিসি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোলার ইপিসি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের টেকনিক্যাল সল্যুশন ম্যানেজার নাজিবুল আহামেদ বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ইন্সটলার ওয়ার্কশপ ২০২৩- একটি অনুকরণীয় উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞ সেশন, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এবং অনন্য নেটওয়ার্কিং সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এই ওয়ার্কশপের এজেন্ডাটি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই অনুষ্ঠান শুধু অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদেরই উপকার করছে না বরং বাংলাদেশের সৌর শক্তি খাতের বৃদ্ধি ও উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে।”