অনেক ক্রেতা বলেছেন যে গেল কুরবানীর পর তারা আর গরুর মাংস খান নি। দাম কমেছে বলে এখন খাবেন।
গরুর মাংসের দাম তখন বাড়তি ছিল যখন মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছিলেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত |
বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম দুই বছরের নিম্নতম পর্যায়ে নেমে এসেছে। এখন গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এই দাম ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা প্রতি কেজি। দাম কমার কয়েকটি কারণ রয়েছে, যেমন, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, চাহিদা কমে যাওয়া এবং মেশির উদ্বৃত্ত।
মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। তাই মানুষ গরুর মাংসে কম টাকা খরচ করছে। যখন কোন পণ্যের দাম বাড়ে সেটার বিক্রির পরিমাণ কমে যায় এখন।
চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে
গরুর মাংসের চাহিদাও কমেছে। কারণ, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে মানুষের আয় কমেছে। তাই তারা আগের মতো গরুর মাংস খাচ্ছে না।
বাংলাদেশে এখন গরুর মাংসের তুলনায় মেশির সংখ্যা বেশি। তাই দাম কমে গেছে। এছাড়া গেল কুরবানীর জন্য রাখা সব গরু কুরবানী করা হয় নি।
ভোক্তাদের উপর প্রভাব
গরুর মাংসের দাম কমে যাওয়ায় ভোক্তারা খুশি। এখন তারা কম টাকায় গরুর মাংস কিনতে পারছেন।
গরুর মাংসের দাম কমে যাওয়ায় কসাইদের লাভ কমে গেছে। তবে তারা আশা করছেন, দাম আবার বাড়বে।
সরকারের পদক্ষেপ
সরকার গরুর মাংসের দাম কমিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা মেশি আমদানি বাড়িয়েছে এবং গরুর মাংসের রপ্তানি কমিয়েছে।
ভবিষ্যতে গরুর মাংসের দাম কেমন হবে তা নিশ্চিত নয়। এটি মুদ্রাস্ফীতি, চাহিদা এবং সরবরাহের উপর নির্ভর করবে।