ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ম লিডারশিপ সামিট।
ঢাকা:
লিডারশিপ সামিটের ৭তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বছরের অধিবেশনটির প্রতিপাদ্য ছিলো, “নেভিগেটিং দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ারঃ ট্রান্সফরমিং অর্গানাইজেশনস ফর দ্য ফিউচার”।
শনিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এ শীর্ষ সম্মেলনটি প্রযোজনা করে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
আলোচিত হয় বর্তমান সময়ে উদ্ভূত নেতৃত্বের জটিলতা, প্রতিকূলতা এবং সমাধান, টেকসই প্রবৃদ্ধি, কর্পোরেট গভর্নেন্স এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির নানাদিক।
সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এবং শেলটেকের সঞ্চালনায়, বিএসআরএম, টিম গ্রুপ এবং দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এবং ন্যামকন কনসালটান্সি লিমিটেডের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অধিবেশনটিতে দেশ এবং বিদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, গবেষকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
৩টি কিনোট সেশন, ৫টি প্যানেল ডিসকাশন এবং ১টি ইনসাইট সেশনে সাজানো হয় এবারের লিডারশিপ সামিট।
স্বাগত বকতৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে থাকেন আমাদের লিডার বা শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাই আসন্ন ভবিষ্যতকে সামনে রেখে কিভাবে আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান গুলোকে কার্যকরভাবে সাজাতে পারি সেই বিষয়ে ভাবতে হবে। আমাদের প্রতিটি আলোচনা এই সম্পর্কিত একটি নীতিমালা প্রণয়নে সম্যক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সামিটের প্রথম কিনোট সেশনের বক্তা ছিলেন তুলসী জয়কুমার, প্রফেসর, ইকোনোমিক্স এন্ড এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, সেন্টার ফর ফ্যামিলি বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ, এসপি জৈন ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ। পরবর্তীতে অন্য দুইটি কিনোট সেশনে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভাবনী বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী সংস্কৃতি গঠনের উপায় এবং টেকসই চর্চা নিয়ে আলোচনা করেন যথাক্রমে সুহাইল আল খারসাহ, এন্টারপ্রাইজ এজিল কোচ, সেন্ট্রাল ট্রান্সফরমেশন অফিস, ফার্মা ইন্টারন্যাশনাল এবং ইয়াসির আজমান, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, গ্রামীণফোন লিমিটেড। এছাড়াও, সামিটের একমাত্র ইনসাইট সেশনটি পরিচালনা করেন এরকুমেন্ট পোলাট, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, ইউনাইটেড আইগাজ এলপিজি লিমিটেড।
এছাড়াও ৫টি প্যানেল ডিসকাশনে বক্তারা নেশন বিল্ডিংয়ে স্মার্ট নেতৃত্বের ভূমিকা, সৃজনশীল নেতৃত্ব সহ একাধিক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলেন।
প্রথম কিনোট সেশনে আনির চৌধুরি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য, কৃষি সহ বিভিন্ন সেবা খাতে ডিজিটাল ব্যবস্থা এনেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদ্ভাবনীর সমন্বয় সাধনে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। দেশের বিভিন্ন খাতের নেতৃত্ববৃন্দদের সহযোগিতায় আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য চারটি স্তম্ভের বিকাশের মাধ্যমে আমাদের এই ভিশনকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।“
২য় প্যানেল আলোচনায় রুপালি চৌধুরি বলেন, “একজন বিজনেস লিডারের জন্য অপরিহার্য একটি করণীয় হলো নিজের কর্মচারীদের জন্য একটি সুন্দর কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা যেন প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সক্ষম হয়ে উঠতে পারে।“
সম্মানিত অন্য বক্তারা ছিলেন: আবুল কালাম আজাদ, কো-চেয়ার, স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, ফরমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ভাইস চেয়ারম্যান, আইডিইএ ফাউন্ডেশন; আনির চৌধুরী, পলিসি অ্যাডভাইজার, এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই); সৈয়দ ফেরহাত আনোয়ার, প্রফেসর, আইবিএ, ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা; প্রেসিডেন্ট, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন; মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বিল্ডকন কনসালটান্সি লিমিটেড; প্রফেসর ইমরান রহমান ভাইস চ্যান্সেলর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, রুপালী চৌধুরী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বার্জার পেইন্টস, আনিস উদ দৌলা, চেয়ারপারসন, এসিআই গ্রুপ, মুনাওয়ার মিসবাহ মঈন, গ্রুপ ডিরেক্টর, রহিম আফরোজ বাংলাদেশস প্রমুখ।