পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মালিক পক্ষ ১০,৪০০/- টাকা এবং শ্রমিক প্রতিনিধি ২০,৩৯৩/- টাকা করার কথা বলেছে। কিন্তু আইবিসি বলছে এটা হতে হবে কমপক্ষে ২৩,০০০ টাকা
ঢাকা:
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কত হওয়া উচিত তা নিয়ে নিয়োগকর্তা ও শ্রমিকরা এখনও একমত হতে পারেন না। এদিকে, মালিকদের দেওয়া এই প্রস্তাবকে পোশাক শ্রমিকদের উপহাস বলে মন্তব্য করেছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)। একইসঙ্গে শ্রমিকদের দেওয়া প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য বলেও তারা বলছেন।
রোববার মজুরি বোর্ডের ৪র্থ বৈঠকে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব তুলে ধরেন মালিক ও শ্রমিকরা। মালিক পক্ষ ১০,৪০০/- টাকা এবং শ্রমিক প্রতিনিধি ২০,৩৯৩/- টাকা প্রস্তাব করেছে।
১৬টি নিবন্ধিত ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরের বৃহত্তম কনফেডারেশন “ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল” আইবিসি। এ সংস্থার সভাপতি শ্রমিক নেতা আমিরুল হক আমিন ও সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ এক যৌথ বিবৃতিতে মালিক পক্ষের প্রস্তাবিত ১০,৪০০/- টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলেন, এটা ৪ মিলিয়ন গার্মেন্টস শ্রমিকের সাথে এক ধরণের প্রহসন।
শ্রমিক নেতারা বলেন, ২০১৮ সালে ৮ হাজার টাকার বিপরীতে সর্বনিম্ন মজুরি ছিল ১০০ ডলার; সেই ১০০ ডলারের বর্তমান মূল্য ১০ হাজার টাকা বা ১১ হাজার টাকা। এরই মধ্যে গত ৫ বছরে জিনিসপত্রের দাম, বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ কিছু জায়গায় দ্বিগুণ এবং কিছু ক্ষেত্রে তিনগুণ বেড়েছে। এসব বিবেচনা না করে মালিকরা কিভাবে ১০,৪০০/- টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাব করতে পারেন, এটা বিবেচনা প্রসূত প্রস্তাব নয়।
পাশাপাশি শ্রমিক প্রতিনিধির দেওয়া প্রস্তাবেরও সমালোচনা করে এই সংস্থা। নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাংলাদেশের সব জোট ও ৬৫টি ফেডারেশন মিলে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে। শ্রমিক প্রতিনিধি কীভাবে সেই দাবি উপেক্ষা করে ২০ হাজার টাকা প্রস্তাব করলেন? ২০,৩৯৩/-? শ্রমিক পক্ষের দেওয়া প্রস্তাবটি রহস্যজনক এবং ৪২ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের কাছে অগ্রহণযোগ্য।”
মালিক-শ্রমিক উভয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপকভাবে আকাঙ্ক্ষার ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের জোর দাবি জানান আইবিসি নেতৃবৃন্দ।