আর্ক ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে জানানো হয়- জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মূল্যবান অবদান রাখছে।
 |
| আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। ছবি: সংগৃহীত |
আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। এসময় আর্ক ফাউন্ডেশনের নতুন লোগো উন্মোচিত হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষনার মাধমে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত কার্যকর নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর নীতি গ্রহণের জন্যও গবেষণালব্ধ জ্ঞান অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও মূল্যবান অবদান রাখে চলেছে। তাই বলা যায় আর্ক ফাউন্ডেশন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে সময়োপযোগী নীতি গ্রহণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারকে কার্যকরভাবে তথ্য দিচ্ছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। আপনারা গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্য-৩ অর্জনের পাশাপাশি রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে সরকারি উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন।
প্রারম্ভিক বক্তব্যে আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, গবেষণাভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্ক ফাউন্ডেশন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অর্থ ব্যবস্থাপনা, তামাক নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণে অ্যাডভোকেসি, জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরমাধ্যমে আমরা জনস্বাস্থ্য উন্নেয়নের ক্ষেত্রগুলিকেই চিহ্নিত করার পাশাপাশি যুগোপযোগী ও উদ্ধাবনী সমাধান দিতে চেষ্টা করেছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএডিএএস) প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, আইসিডিডিআর’বি এর ইনফেকশন ডিজিজ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ফেরদৌসি কাদরি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হুসাইন।