রাস্তা বন্ধ করে ঢাকায় যাত্রী উঠাচ্ছে বাসের কর্মীরা। আর সেজন্য পেছনে লেগে গেছে বিরাট লম্বা জ্যাম। সড়কের এমন বিশৃঙ্খলার জন্য যাত্রীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। আর অনেক সময় এইসব অসচেতন কর্মকাণ্ড পরে সত্যি সত্যি বিরাট যানজটের সৃষ্টি করে।
মেট্রোপলিটন হাউজিং, বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। ফটো: আহমেদ মকবুল |
ছবিটি দেখুন ভাল করে। পেছনে যেসব গাড়ি আটকে আছে তার যাত্রী কিংবা ড্রাইভার-হেল্পার কেউ জানতেও পারেন না যে তারা যে জ্যামে আছেন সেটি এটি আসলে কোন জ্যামই নয়। অকারণেই কেউ তাদের সময়কে পাত্তা দিচ্ছে না।
অনেকে এজন্য অফিসে দেরিতে পৌঁছান। কারো চাকুরির ইন্টারভিউ মিস হয়ে যায়। কেউ পরীক্ষা দিতে না পেরে কাঁদেন। এমনকি হসপিটালে ডাক্তার দেখাতে ব্যর্থ হন অনেকে।
এভাবেই চলছে ঢাকার সড়কে মাস্তানি। কিন্তু এদের রুখবে কে? সাধারণ যাত্রীরা জ্যামে বসে থেকে মানসিক যন্ত্রণা বাড়লেও মুখ ফুটে আর কিছু বলেন না।
সচেতন মহল মনে করেন, বাস কর্মীদের এমন আহাম্মকী কাজ সড়কে শৃঙ্খলা না থাকার চিহ্ন। এখানে কড়া শাসনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি মানুষের প্রত্যাশাও কমছে, বাড়ছে হতাশা।