ফলের রাজা আমই। সবারই প্রিয় আম। জাতীয় ফল কাঁঠালও মৌসুমে আমের মত জনপ্রিয় থাকে না।
তবে মজা বলে ইচ্ছেমতো আম খাওয়া যাবে না। যদিও আম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপদান থাকে। আম খেলে বিপদ হতে পারে। শুনতে নতুন লাগলেও একথা সত্য। অনেকের জন্যই দেদার আম খাওয়া বারণ।
চলুন জানি কোন অবস্থায় বেশি আম খাওয়া যাবে না।
পাকা আম। ছবি: Polina Tankilevitch |
বেশি আম খাওয়া বারন যাদের
কিছু মানুষের জন্য কিছু অবস্থায় আম হতে পারে বিপজ্জনক। কারণ এই ফলের আছে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। বেশি পরিমাণে আম খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
আমে থাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তবে আম সবার শরীরের জন্য উপকারী নয় বলে জানান ডায়েটেশিয়ানরা। দেখুন বেশি আমে সমস্যা হবে কোন কোন অবস্থায়।
অ্যালার্জি
সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের হার্বার্ট এইচ. লেহম্যান কলেজের প্রভাষক ও নিবন্ধিত ডায়েটেশিয়ান দিনা আর. ডি’অ্যালেসান্দ্রো (এমএস, আরডিএন, সিডিনি) জানান, কারও যদি ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকে তাহলে অবশ্যই আম খাওয়ার সময় সতর্ক থাকু। আমের প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতোই, তাই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
ডায়াবেটিস
পুষ্টিবিদ দিনা আরও জানান, আম রক্তে শর্করার পরিমাণও বাড়ায়। কারণ এই ফল প্রাকৃতিকভাবেই কার্বোহাইড্রেটযুক্ত। আম যদিও মিষ্টি এবং খেতে দারুণ।
আম খাওয়ার আগে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না মেপে দেখবেন। তারপর আম খাবেন। যেহেতু আম খেলে মুহূর্তেই বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিস।
আরো পড়ুন: ডাবের পানির উপকারিতা
আইবিএস
যেহেতু আমে গাঁজনযোগ্য কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। তাই আপনি যদি ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) এর মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভোগেন তাহলে আম মেপে খান কিংবা এড়িয়ে যান। কারণ আমের অতিরিক্ত গ্রহণ জিআই সমস্যার জন্য দায়ী।
অতিরিক্ত ওজন
যারা অতিরিক্ত ওজনে ভোগেন কিংবা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। তারা আম খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। এক কাপ আমে প্রায় ৭০ গ্রামের ক্যালোরি থাকে। তাই বেশি আম খেলে ওজন বাড়বে। খুব ইচ্ছে হলে সকালের নাস্তায় সামান্য পরিমাণ আম খাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম।
বারণ থাকলেও আম খাওয়ার উপায়
আম খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। তবে জানলে অবাক হবেন যে, আমের খোসাতে অনেক বেশি ফাইবার থাকে। তাই খোসা ছাড়িয়ে আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় যদি বেশি আম খাওয়া নিষেধ হয়।
খোসাসহ আম খেলে শরীরে বেশি পুষ্টি হয় না। তাই খোসাসহ আম খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডায়াবেটিস থাকলে কাঁচা আম দিয়ে জুস বানিয়ে পান করলে উপকার পাবেন।
গরমে আরাম পেতেও খান আম-পুদিনার শরবত।