বাংলাদেশে ড্রাগন ফল জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এই ফল দেখতে বেশ রহস্যময়। ওপরে রঙিন কোট, কিন্তু ভেতরে কালজিরার দানার মত ছোট ছোট দানাসহ সাদা বা লাল কোর। খেতে হালকা মিষ্টি ও সুস্বাদু এই ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল কীভাবে খায় সেটা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে নতুনদের।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো- একটি চামচ দিয়ে ফলের সাদা বা লাল মূল অংশ বের করে নিলে কোন সমস্যা হয় না। বাইরের কোটিং প্রান্ত বরাবর চামচ ঘুরিয়ে এবং তারপর ভেতরের অংশ ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য নিচে চাপ দিন। ড্রাগন ফল পাকা হলে এর খোসা থেকে ভেতরের অংশ সহজে আলাদা হয়ে যাবে। এবার ড্রাগন ফলের সেই ভেতরের অংশই খান। সরাসরি খান অথবা জুস করেও খেতে পারেন।
কিছু প্রশ্ন মাথায় আসতে পারে ড্রাগন ফল খাওয়ার সময়, যেমন- ডায়াবেটিস রোগী এই ফল খেতে পারবে কিনা। নিচে এই প্রশ্নসহ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব এবং ড্রাগন ফলের নানা বিষয় তুলে ধরা হলো।
Dragon Fruit. Image: Any Lane, Pexels |
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম কী?
দেখতে সুন্দর ড্রাগন ফলটি কীভাবে খাবেন সেই নিয়ম অনেকেরই না জানা থাকতে পারে। যারা প্রথমবার এই ফল কিনেছেন। বা যাদের গাছে ফলটি প্রথমবার এসেছে। তারা দেখুন কীভাবে খেতে হবে ড্রাগন ফল।
প্রথমেই ড্রাগন ফলটিকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। চূড়ান্ত ধোয়ার আগে লবন দিয়ে নিতে পারেন একবার।
একটি ধারালো ছুরি দিয়ে প্রথমে দুই পাশের অংশ কেটে নিন। মুখ ও পেছনের অংশের কথা বলছি। এরপর ফলটিকে মাঝ বরাবর দু’ভাগ করুন।
ভেতরের সাদা অংশ ও চামড়ার মাঝখানে চামচ ঢুকিয়ে আলগা করে নিন এবং বের করে আনুন সাদা অংশ। এই অংশটি খাওয়া হয়। এটি লাল রঙেরও হয়।
ছুরি দিয়ে টুকরো করে নিন। এবার পরিবেশন করুন ফর্কসহ।
ড্রাগন খাওয়ার আরেকটি পদধতি হলো-জুস করে খাওয়া। ড্রাগন জুস করার জন্য ড্রাগন এর বাইরের চামড়া ছিলে মূল অংশ পুদিনা পাতাসহ ব্লেন্ড করে নিন।
তারপর গ্লাসে বরফ, চিনি ও লেবুর রস দিন এবং ব্লেন্ড করা ড্রাগন দিন। চামচ দিয়ে নেড়ে নিন এবং পান করেন।
ড্রাগন ফল জ্যাম, আইসক্রিম কিংবা পুডিং করেও খাওয়া যায়
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ড্রাগনের পুষ্টিগুণ এত বেশি যে জানলে আজই এই ফল খেতে চাইবেন। ডায়াবেটিস ছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে ড্রাগন। এটিতে ভিটামিন সি রয়েছে। রক্তে অণুচক্রিকা বা প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ড্রাগন ফল। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় ড্রাগন। এতে আছে খনিজ লবন। এতে ত্বক সুন্দর করার ম্যাজিক রয়েছে।
খাবার দ্রুত হজম করার শক্তি পাওয়ার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া হাড় মজবুত করে এবং চুল ঘন করে।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য ড্রাগন খুব উপকারী। এর ভিটামিন বি, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম গর্ভস্থ শিশুর জন্য দরকারি।
অ্যালজাইমার এবং পারকিনসন এর মতো রোগের ঝুঁকি কমায় ড্রান ফল।
ডায়াবেটিস রোগী ড্রাগন ফল খেতে পারবে কি?
আরো পড়ুন: রসুনের উপকারিতা: রসুন খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় কেন?
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট বা অপকারিতা আছে কিছু। এই ফলে অনেক পুষ্টি আছে – অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। বেশি করে ড্রাগন ফল গ্রহণ শরীরে ডাইরিয়া আনতে পারে। পরিমানের থেকে বেশি বা অতিরিক্ত ড্রাগন খেলে নিম্ন রক্ত চাপ হতে পারে।
ড্রাগন ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম। ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমরা এখানে তথ্য তুলে ধরলাম। ড্রাগন ফল এর উপকারিতা অনেক এর ভিটামিন সি, খনিজ, ভিটামিন বি ইত্যাদি উপাদান বেশ উপকারী। এটি শরীর থেকে কোলেস্টেরল বের করে দেওয়ার জন্য স্পঞ্জের মতো কাজ করে।