মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া সার্কিট হাউজের সামনে প্রায় ৫ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এক স্কুল শিক্ষার্থীরা।
ছবি: সংগৃহীত |
শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী পালাক্রমে দল বেধে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করে তারা। এটা তারা সবসময় করে। কিন্তু এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ নিয়ে ঝামেলা হয় তাদের।
সোমবার স্কুলের শ্রেণি কক্ষ পরিষ্কারের সময় তাদের এক সহপাঠী ঝাড়ু দেবে না বলে জানায়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে গতকাল স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যান অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ও তার মা। ডেকে আনা হয় কয়েকজন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবককে। এসময় মেয়ের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ তুলে, তার মা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের পা ধরে ক্ষমা চাইতে হয় আরেক সহপাঠীর মাকে। ঝাড়ু দিতে না চাওয়া ছাত্রীর মা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।
বিক্ষোভের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রীদের নিয়ে বৈঠক বসেন। মাফ চাওয়ার ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন দয়সারা ভাব ছিল কিনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবারও এ ঘটনার রেশ চলছে বগুড়ার সেই স্কুলে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হওয়ায় তিনি সেখানে নিজের বিচার নিজেই করে ফেলেছিলেন কিনা এ নিয়ে জনসাধারণের মধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে।
ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করার কথা বলছেন অনেকে। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে। তারা মনে করেন পরিবার ও স্কুল থেকে নৈতিক শিক্ষার অভাব হলে এমন ঘটনা ঘটে।
কিন্তু বিচারকের বিচার কে করবে?
তবে, সেই অভিভাবক কেন মাফ চেয়েছিলেন? তিনি কি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে অযাচিত আচরণ করেছিলেন? সে প্রশ্নের উত্তর জানারও প্রয়োজন আছে।