চোখ লাল হওয়ার কারণ যাই হোক না কেন এটি কখনো কখনো যন্ত্রণাদায়ক আবার কখনো কখনো কম যন্ত্রণাদায়ক তবে অস্বস্তিকর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে চোখে ড্রপ দিবেন না এবং কোন ওষুধ খাবেন না। কেন চোখ লাল হয় এবং এর প্রতিরোধ কীভাবে হবে এই নিয়ে আজকের পোস্ট।
রাগে রক্তচক্ষু নয় চোখ লাল হয় চোখের কিছু সমস্যার জন্য। নানা কারণে চোখের কোনা লাল হতে পারে। লাল চোখ নিয়ে বাইরে বের হওয়া আরো ঝামেলার।
চোখ লাল হওয়ার কারণ
চোখ লাল হবার স্বাভাবিক এবং কিছু অস্বাভাবিক কারণ রয়েছে। নিচে উভয় রকমের কারণগুলো দেওয়া হলো-
চোখ লাল হওয়ার স্বাভাবিক কারণ
|
চোখে কাজল দেয়া। বেশি সময় ধরে কান্না করা। গোসলের সময় অতিরিক্ত পানি ঢালা। পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে দীর্ঘক্ষণ ডুব দিয়ে গোসল করা; বিশেষ করে প্রাকৃতিক জলাশয়। গরু-ছাগল গোসল করে বা হাঁস চলাচল করে এমন জলাশয়ে গোসল করা। চোখের ভেতর সাবান ও শ্যাম্পুর ফেনা চলে যাওয়া। ঠান্ডা বাতাস চোখে লাগা। জোরে বাতাস এসে চোখে লাগা।
|
চোখ লাল হওয়ার অস্বাভাবিক কারণ
|
চোখের গ্লুকোমা রোগ হওয়া। চোখে কোনো সার্জারি করা। চোখে কিছু ওষুধ দিলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়া। ইউভিয়াইটিস হওয়া। অ্যালার্জিজাতীয় খাবার খাওয়া। চোখে ধুলো যাওয়া কিংবা বালুকণা যাওয়া। লেদ মেশিনে কাজ করতে গিয়ে চোখে লোহার কণা বা টুকরা যাওয়া। যাদের দৃষ্টিশক্তি কম তবু জোর করে বই পড়া। চোখে টিউমার হওয়া। চোখ ওঠা। চোখে ঘা হওয়া। চোখের নালি বন্ধ হওয়া। |
আরো পড়ুন: চোখের পাতা কাঁপে-কী করবেন?
চোখ লাল হওয়া প্রতিরোধের উপায়
চোখ লাল হওয়া থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা জরুরি। কিছু নিয়ম মেনে চোখের যত্ন নিলে চোখের লাল হয়ে পড়া সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। যেমন- বাইরে বের হওয়ার সময় চশমা পরলে রোদ এবং ধুলোবালু থেকে চোখকে রক্ষা করা যায়। একে রোদচশমা বা সানগ্লাস বলে। আর কী কী উপায়ে চোখ লাল হওয়া প্রতিরোধ করা যায়- চলুন দেখি।
♦ চোখের রোগ নির্ণিত হলে (যেমন চোখ লাল হওয়া, চোখে ছানি পড়া বা চোখের অন্য কোনো রোগ) দ্রুত চক্ষু হাসপাতালে যেতে হবে।
♦ চোখে ব্যবহারযোগ্য প্রসাধনী ব্যবহার ছেড়ে দিন। বিশেষ করে কাজল ব্যবহার ভাল নয়। এটি মূলত কালি।
♦ উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস থাকলে বছরে কমপক্ষে একবার চোখ পরীক্ষা করানো ভাল।
♦ রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা।
♦ রাগ কমাতে হবে।
চোখ লাল হওয়া রুখতে এবং চোখের শক্তি বাড়াতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। বাদামে চোখের জন্য আরামদায়ক বেশ কিছু ভিটামিন রয়েছে। সবুজ শাকসবজি ও হলুদ ফলমূল বেশি করে খেতে বলেন ডাক্তারগণ। অন্ধকারে টিভি না দেখা ও অনেক সময় ধরে কম্পিউটারেবা ফোনে কাজ না করার অভ্যাস করুন।
মাথায় খুশকি হলে দ্রুত খুশকি দূর করতে হবে। চোখে সাবানের ফেনা যেন না লাগে সে ব্যাপারে সাবধান থাকুন। চোখ লাল হলেই ভয় নয়। চোখে ঝাপসা দেখলে অতিসত্বর চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।