গন্ধ ও স্বাদ মনমত নয় বলে মুলা খেতে চান না? আজকে মূলা নয়, মূলা শাক নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। মুলা শাক স্বাদে বেশি মজার না হলেও এর রয়েছে অপরিহার্য স্বাস্থ্য উপকারিতা।
Image: A Rama Krishna, Pexels |
মূলা শাকে সত্যিই উপকারিতা আছে?
মূলা শাকের উপকারীতাগুলো কী কী? মুলা নাম শুনেই অনেকে চোখ কুঁচকান। অনেকেই মুলা খেতে চান না। আপনি হয়তো কখনো চিন্তাও করেননি তিক্ত স্বাদের এই শাকের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
আসুন জেনে নেই বহুল আলোচিত মুলা শাকের উপকারিতা সম্পর্কে-
মুলা শাকের উপকারিতা: মুলা শাকের উপকারিতার মধ্যে রয়েছে-
১. মুলা শাকে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। অল্প নয়-বেশি। এই ভিটামিন ছাড়াও মূলায় ও মূলা শাকে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি বার্ধ্যক্য রোধে সহযোগী হিসেবে কাজ করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও মূলা শাকে মলিবডেনাম, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ ফলিক এসিড রয়েছে।
২. অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান সমৃদ্ধ সবজি মূলা শাক, এই শাক গ্রহণ করলে অ্যালার্জি ও হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া সহজ হয়।
৩. পরিষ্কারক হিসেবে মুলার পরিচিতি আছে। মুলো শাক আমাদের দেহ থেকে ফ্রি র্যাডিকেল বা মুক্তমূলক পরিষ্কারক হিসেবে ভূমিকা রাখে।
ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে মূলা শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৪. মূলা শাকে ফাইবার আছে। এর ফাইবার দেহের রক্ত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে।
৫. মূলা শাক শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে ও পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে।
উপকারীতা আছে বলে বেশি করে খাওয়া ঠিক নয়। পরিমাণমত খেতে হবে মূলা শাক।
এই শাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে বিধায় বেশি পরিমাণে মূলা শাক গ্রহণ করলে অক্সালেট জমাট বেধে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে সতর্কতা দিয়েছেন।
আরো সতর্ককতার বিষয় হলো- ক্যালসিয়াম শোষণে অক্সালেট বাধা সৃষ্টি করে থাকে। যারা কিডনি বা পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাদের মূলা শাক এড়িয়ে চলা উচিত।