নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সদস্য মিসেস শায়েস্তা আহমদ গত ২০ নভেম্বর ২০২২ ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন) । মিসেস শায়েস্তা আহমদ ঢাকা কলেজ, ইডেন গার্লস কলেজ, হলি ক্রস কলেজ এবং তিতুমীর কলেজ সহ বাংলাদেশের কয়েকটি নামকরা কলেজে প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি তিতুমীর কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। মিসেস শায়েস্তা আহমদ বাংলাদেশী কূটনীতিক এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও এর প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন আহমদ এর স্ত্রী।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং এনএসইউ এর সদস্যরা তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর মৃত্যু এনএসইউ পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে গভীর সমবেদনা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়, মিসেস শায়েস্তা তার স্বামী অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন আহমদকে নয় মাস তাদের অ্যাপার্টমেন্টে ফ্রান্সে বাংলাদেশের প্রথম দূতাবাস খোলা ও পরিচালনায় সহায়তা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। মিসেস শায়েস্তা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠায় জনাব মুসলেহউদ্দিন এর সাথে সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ মা যিনি মর্যাদাপূর্ণ রত্নগর্ভা পুরস্কার পেয়েছেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন সন্তান রেখে গেছেন। তাঁরা হলেনঃ ড. জুনাইদ কামাল আহমদ, সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্টি, এনএসইউ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংক; জনাব জাভেদ মুনির আহমদ, সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্টি, এনএসইউ এবং সিইও, অ্যাপরোসফট আইএনসি; মিজ শীমা আহমদ, সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্টি, এনএসইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক লেখক এবং রাজনৈতিক সংগঠক ।
মিসেস শায়েস্তার তার সাত নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মেদনিপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং দেশভাগের সময় ঐতিহাসিক অভিবাসনের অংশ ছিলেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার নিকট মরহুমার আত্মার শান্তির জন্য এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের এই ক্ষতি সহ্য করার জন্য দোয়া জানায়।
ছবি: এনএসইউ