আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের মুদ্রা ইউয়ানের মারাত্মক পতন হয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন রকমের ট্রেডারগণ লোকসান গুনছেন।
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে নতুন করে বাজারে আত্মপ্রকাশের পর বুধবার ডলারের বিপরীতে চিনের রেনমিনিবি বা ইউয়ানের সবচেয়ে বড় দরপতন হলো।
বাজারের সর্বশেষ মূল্য থেকে জানা গেছে, চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে ১ ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে ৭.২৩৮৬ ইউয়ান। এটি বুধবারের খবর। বৃহঃবার এই মুদ্রার আরো অবনতি ঘটলে বাজারে হতাশা বাড়বে। এমনকি হঠাৎ করে ইউয়ানের দাম বেড়ে গেলেও খারাপ প্রভাব পড়বে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, ২০০৮ সালে বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর সর্বনিম্ন মানে পৌঁছে গেছে ইউয়ান।
সেপ্টেম্বর এর শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সেদেশর প্রবৃদ্ধি কমায় সুদহার বৃদ্ধি করে। এরপর বিশ্বের অন্যন্য মুদ্রাগুলোর বিপরীতে বাড়তে থাকে ডলারের মান।
বাজারে ইউয়ান ছাড়াও গত শুক্রবার বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মুদ্রা ব্রিটিশ পাউন্ডে গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন হয়।
এর মধ্যে চীনা মুদ্রার ব্যাপক পতনের খবরের প্রভাবে বুধবার এশিয়ার বড় পুঁজিবাজারগুলোতে সূচকে ধস নামে। বৃধবার সকালে লেনদেনের সময় জাপানের নিক্কেই, হংকংয়ের হ্যাং সেং এবং সাউথ কোরিয়ার কসপির সূচক কমে ২ শতাংশের বেশি।
চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অফ চায়না (পিবিওসি) তার মুদ্রার মানের পতন ঠেকাতে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে চীনা ব্যাংকগুলোতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নের সীমা কমিয়েছে তারা।
সংকটকালে ডলারে বৈদেশিক লেনদেন ও বিনিয়োগকে নিরাপদ মনে করেন অনেকে। এটি অন্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করায় ভূমিকা রেখেছে।
বর্তমানে যুদ্ধের প্রভাবে ইউএস ডলারে লেনদেনে কিছু দেশে সমস্যা হওয়ায় অন্যান্য মুদ্রার ব্যবহার বাড়ছে। এ তালিকায় চীনের ইউয়ান, তুর্কিয়ে লিরা, রাশিয়ান রুবল ও ভারতীয় রূপি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই অবস্থার মধ্যে চীনা মুদ্রার মানের পতন ঘটলো।