কর্মীদের অপরাধ- তারা ‘মুনলাইটিং’ করছিলেন। সেকারণেই ৩০০ কর্মীকে একসঙ্গে ছাঁটাই করল ভারতের নামী তথ্যপ্রযুক্তি গোষ্ঠী উইপ্রো। বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের এই ঘটনায় তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের চাকুরি ক্ষেত্রের চাকুরির নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। পাশাপাশি মুনলাইটিং বিষয়টির প্রতিও কৌতূহল বেড়েছে।
উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি জানিয়েছেন, ৩০০ কর্মীর মুনলাইটিং ধরতে পেরেছে সংস্থা। এই ধরনের কর্মীদের জন্য আমাদের গ্রুপে কোনও স্থান নেই।
মুনলাইটিং কী?
মুনলাইটিং হলো কোনও এক সংস্থায় চাকরিরত কর্মী যখন একই সঙ্গে অন্য সংস্থার হয়ে কাজ করে। এক্ষেত্রে মূল সংস্থার কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই এই কাজ করা হয়। এই ধরনের কার্যকলাপ বড় বড় সংস্থারা মেনে নেয় না, কারণ তাদের দাবি এতে ‘প্রোডাক্টিভিটি’ নষ্ট হয়।
কোভিড এর কারণে লকডাউনের সময়ে বহুলভাবে চর্চায় উঠে এসেছিল মুনলাইটিং। কারণ ওই সময় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার (ওয়র্ক ফ্রম হোম) সুযোগ দিতে বাধ্য হয়েছিল। এতে মূল সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অন্য জায়গায় পার্ট-টাইম কাজ করে টাকা আয়ের ব্যবস্থা সুগম হয়েছিল।
আরো এক তথপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস কড়া অবস্থান নিয়েছিল মুনলাইটিং এর বিপক্ষে। কর্মীদের ই-মেল করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংস্থাকে না জানিয়ে অন্য কোনও চাকরিতে ঢোকা যাবে না। এই বিধি লঙ্ঘন হলে চাকরি থাকবে না।
এ ঘটনায় সমালোচনা হচ্ছে ভারতজুড়ে। কারণ প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বেতন হিসেবে না দিয়েও মুনলাইটিংয়ের বিরোধীতা করছে। মুনলাইটিংকে প্রতিষ্ঠানগুলো মেনে না নিলে সেটি হবে শ্রমদানের চিরায়ত নিয়মের লঙ্ঘন।