বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কল ড্রপ হলে ব্যবহারকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে । এখন থেকে একই ফোন অপারেটরে কথা বলার সময় প্রথম কল ড্রপ হলেই গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ চমকপ্রদ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে কল ড্রপ ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘ক্ষতিপূরণটাই গুরুত্বপূর্ণ না। গ্রাহক যেন নির্বিঘ্ন সেবা পায়, সে উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশনা জারি করা হচ্ছে। ফোন অপারেটররা যেন সেবার মান উন্নয়ন করে ক্ষতিপূরণ থেকে রেহাই পান, আমরা সেটাই চাচ্ছি।’
বিটিআরসি জানায়, গ্রাহক এখন থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় কল ড্রপের ক্ষেত্রে প্রতিটি কল ড্রপের জন্য ৩০ সেকেন্ড এবং তৃতীয় থেকে সপ্তম কল ড্রপের বেলায় প্রতিটি কল ড্রপের জন্য ৪০ সেকেন্ড টকটাইম ফেরত পাবেন। ফেরত পাওয়া টকটাইম পরের দিন থেকে ব্যবহারযোগ্য হবে এবং এই টকটাইম শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকের কোনো টাকা কাটা যাবে না।
এছাড়া, কল ড্রপের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে। কোনো অপারেটর চাইলে কল ড্রপ হওয়ার দিন থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে। কল ড্রপের ফেরত প্রাপ্ত টকটাইমের মেয়াদ হবে ১৫ দিন। বিটিআরসি বলেছে, ১০০ সেকেন্ড কল ড্রপের জন্য অপারেটররা ৩০৯ দশমিক ৪৪ সেকেন্ড ক্ষতিপূরণ দেবে।
যেকোনো অপারেটরের গ্রাহক এখন থেকে *১২১*৭৬৫# কোডের মাধ্যমে তার কল ড্রপের পরিমাণ জানতে পারবে।
বিটিআরসি এটিও জানিয়েছে যে, গ্রামীণফোন ও রবি তৃতীয় থেকে সপ্তম কল ড্রপ পর্যন্ত গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে বাংলালিংক দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ কল ড্রপ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়।