এলএনজি একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালনি পণ্য যা বিদ্যুৎ উৎপাদন, কারখানা ও রান্নায় ব্যবহৃত হয়। সেই গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি এলএনজি রপ্তানি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে অন্যতম বৃহৎ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ অস্ট্রেলিয়া। গণমাধ্যম আরটি এ খবর জানিয়েছে।
খবরে জানানো হয় চলমান বিশ্ব বাজারের অস্থিরতা যা বিভিন্ন যুদ্ধের কারণে চলছে তারই ফল হিসেবে এই সংকট। এটি বিভিন্ন জ্বালানি আমদানি নির্ভর দেশের জন্য অবশ্যই ভাল খবর নয়। সেখানে এলএনজি’র অভাবে অর্থনৈতিক সংকট বাড়াবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা নজরদারি সংস্থা আগামী বছর গ্যাসের ঘাটতি ও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করার পরে এই পরিকল্পনার ব্যাপারে জানানো হয়। সংস্থাটি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের প্রতি আহ্বান রাখে।
সেদেশের এলএনজি রপ্তানিকারক কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরবরাহের পরিকল্পনার চেয়ে বেশি গ্যাস প্রত্যাহার করতে পারে। এতে অস্ট্রেলিয়ায় গ্যাসের ঘাটতি ১০ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এটি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা ও ভোক্তা কমিশন।
অস্ট্রেলিয়ার এনার্জি বিষয়ক মন্ত্রী ম্যাডেলিন কিং বলেছেন, অক্টোবরে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি এলএনজি রপ্তানিকারক ও দেশের বাণিজ্যিক পার্টনারদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।
অস্ট্রেলিয়ান এলএনজির প্রধান ক্রেতা চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। আর যুক্তরাষ্ট্র-কাতারসহ বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ওশেনিয়ার দেশ অস্ট্রেলিয়া অন্যতম।
এলএনজি রপ্তানি সীমিত করে ফেললে অস্ট্রেলিয়ার ওপর নির্ভরশীল দেশগুলো অনেকটাই ঝামেলায় পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যুদ্ধের কারণে কিছু দেশ তেল ও গ্যাস রপ্তানির নিয়ম বদলে ফেলেছে।