‘তুরস্কের মানুষের সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং মূল্যবোধের ভালো বহিঃপ্রকাশ এবং প্রতিনিধিত্ব করবে এমন শব্দ হিসেবে তুর্কিয়ে সর্বোত্তম,’ এমন মতামত ছিল প্রেসিডেন্ট এরদোগানের।
আন্তর্জাতিক পরিসরে তুরস্ক দেশটি এখন থেকে ‘তুর্কিয়ে’ হিসেবে পরিচিত হবে। তুরস্কের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘ তুরস্কের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নামটি গ্রহণ করেছে।
এর আগে এটি বিশ্বে ‘টার্কি’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও একই ধরনের পরিবর্তন গৃহীত হবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান গত বছর থেকে তুরস্ককে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার অংশ হিসেবে দেশের নাম ‘তুর্কিয়ে’ রাখার প্রচারণা শুরু করেন।
‘তুরস্কের মানুষের সংস্কৃতি, সভ্যতা এবং মূল্যবোধের সবচেয়ে ভালো প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তুর্কিয়ে সর্বোত্তম,’ গত ডিসেম্বরে এমন মতামত প্রকাশ করেন এরদোগান। তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ এরই মধ্যে তাদের দেশকে তুর্কিয়ে হিসেবে জানে।
ইংরেজি ভাষায় ‘টার্কি’ নামটি আন্তর্জাতিক মহলে এবং দেশের ভেতরেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোগান যখন গত বছর নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেন, তখন থেকেই রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি তুর্কিয়ে শব্দটি ব্যবহার শুরু করে।
পড়ুন: এলএনজি রপ্তানি কমিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
‘টার্কি’ শব্দটি বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষ এবং থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-এর সাথে সম্পৃক্ত একটি পাখির নাম। এছাড়া ক্যামব্রিজ অভিধানে ‘টার্কি’ শব্দটির অন্যতম অর্থ হচ্ছে - ‘যে জিনিস চরমভাবে ব্যর্থ’ অথবা ‘বোকা ব্যক্তি’। এটাই দেশের নাম পরিবর্তনের কারণ।
তুর্কিয়ে দেশটি বর্তমানে খুব আলোচিত। কারণ দেশটি বিভিন্ন বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব মেটাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তারা সামরিক দিক থেকেও সক্ষমতা দেখাচ্ছে। কূটনৈতিক দিক থেকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবশালী।