মানবপাচার ভয়াবহ অপরাধ- ইউরোপীয় ইউনিয়ন

EU Ambassador


মানবপাচার ভয়াবহ অপরাধ। পাচারের শিকার নারী ও শিশুরা এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউরোপে যারা প্রতিবছর পাচার হচ্ছে, তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশই নারী ও শিশু।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে নার্সিং অন্যান্য বিশেষ খাতে যোগ্যতাসম্পন্ন জনশক্তি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

বুধবার ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

প্রমোটিং মাল্টিল্যাটারাল কো-অপারেশন টু প্রিভেন্ট হিউম্যান ট্র্যাফিকিং অ্যান্ড মাইগ্রেন্ট স্মাগলিংশীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)

অনুষ্ঠানে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশকে বিবেচনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যা ইইউতে বৈধ অভিবাসনের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক নতুন পথ হতে পারে। যেমন- নার্সিং অন্যান্য বিশেষ যোগ্যতার ক্ষেত্রে। তারা কাজ করবে, প্রশিক্ষিত হবে এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ফিরে আসবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কাজ করছি আমরা। প্রক্রিয়ায় দুপক্ষেরই লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সময় রাষ্ট্রদূত বিশ্বব্যাপী মানবপাচার বন্ধে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতামূলক কাজের ওপর গুরুত্ব দেন।  তিনি বলেন, মানবপাচার ভয়াবহ অপরাধ। পাচারের শিকার নারী শিশুরা এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউরোপে যারা প্রতিবছর পাচার হচ্ছে, তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশই নারী শিশু।


পড়ুন: এলএনজি রপ্তানি কমিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া


ইইউ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর প্রায় ২৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ইউরো হাতিয়ে নেয় পাচারকারীরা। বিশাল কারবারে বড় ধরনের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জড়িত।

  

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form