জুতা ডিজাইন করার সময় অনেক ডিজাইনার শুধু ডিজাইন এর ব্যাপারটাতেই মনোযোগী থাকেন। তারা পায়ের কথা খুব একটা মাথায় রাখেন না।
তাই অনেকসময় জুতার দোকানগুলোতে আজগুবি সব ডিজাইনের জুতা দেখা যায়।
ওইসব জুতা পায়ে স্বস্তি দেয় না। অনেকসময় পায়ের ক্ষতিও করে। এই পোস্টে জুতা ডিজাইন করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো নিয়ে একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
জুতা ডিজাইন কেন করবেন?
যখন আপনি জুতা ডিজাইন করবেন তখন সেটি দেখতে ভাল লাগবে এবং আপনার জুতা পায়ের সাইজে মিলবে। জুতা ডিজাইন ফ্যাশনেবল নারী পুরুষের নিকট খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
একটি নতুন ডিজাইন যদি জুতাকে সুন্দর কিন্তু একটু ভিন্ন করে এবং সেটি পরতেও ভাল হয় তাহলে সবাই সেই জুতার প্রতি নজর দেয়। ফ্যাশন সচেতনেদের কাছে এটা বেশ মজার।
জুতার নতুন ডিজাইন করে নিলে অনেকসময় বিক্রিও করা যায় জুতা বিক্রেতার নিকট।
জুতা ডিজাইন করার সময় দেখার বিষয়
১. প্রথমেই জুতা ডিজাইন করার সময় খেয়াল রাখবেন ডিজাইন যেন অদ্ভুত না হয়। অদ্ভুত দেখতে জুতার ডিজাইন লোক হাসাবে।
২. জুতা ডিজাইন করার সময় দেখবেন পায়ের সাইজ এর সাথে মানানসই কিনা। মানানসই সাইজের না হলে সেই ডিজাইন বেকার।
৩. যেসব বস্তু দিয়ে জুতা ডিজাইন করবেন সেগুলো টেকসই কিনা সেটা দেখবেন। এমন কিছু দিবেন না যেটা দিলে জুতা দ্রুত ফট করে ছিঁড়ে যেতে পারে।
৪. নতুন জুতা ডিজাইন পায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল কি না দেখবেন।
৫. দামের বিষয়টিও জুতা ডিজাইন এর কালে দেখতে হবে। খুব বেশি খরচ করা ঠিক না
৬. পরিবেশ বান্ধব জুতা ডিজাইন করা উচিত। জুতা নষ্ট হলে যেন সহজে রিসাইকেল বা ডিসপোজ করা যায়।
৭. জুতা ডিজাইন অবশ্যই জুতাকে দুর্গন্ধ, পা ঘামা, তলা ফেটে যাওয়ার বিষয়গুলোকে এড়িয়ে গিয়ে করতে হবে। যেন এই সমস্যাগুলো না হয়।
পড়ুন: পোশাক বানাব না কিনব।
সর্বোপরী নতুন জুতা ডিজাইন যেন পুরনো সব জুতার চেয়ে ভাল হয়। কোনভাবেই যেন সেগুলোর চেয়ে মন্দ না হয়। জুতা যদি হয় দেখার মত তাহলে জুতার রক্ষণাবেক্ষণটাও যেন বিজ্ঞানসম্মত হয়। জুতা ডিজাইনার হবেন বুদ্ধিমান।