গুরুজনেরা বলেন ঋণ (Credit) করা ভাল নয়। আবার ঋণ না করাও ভাল নয় বর্তমান যুগে। কারণ ইসলামি ব্যাংক অন্যদের ঋণ দিয়ে ধনী বানিয়ে দিচ্ছে। তারপর তাদেরকে আরো ধনী বানাচ্ছে।
আপনি ঋণ না নিলে বরং ওই লোকগুলো আপনাকে দাস বানিয়ে ফেলবে অথবা হতদরিদ্রের ঘরে এনে ফেলবে আপনার অজান্তে।
আপনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন, কয়েক বছর আগে তারাও আপনার মতই ছিল। ইসলামী ব্যাংক আপনাকে এবং তাকে উভয়কেই ঋণ দিয়ে ঘর বানিয়ে দিতে পারত। কিন্তু তারা সেটা না করে শুধু ওই লোকটিকেই দিয়েছে কারণ তার কিছু সম্পদ ছিল।
এর ফলে আপনি তার বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং তিনি আপনার জমিদার। তিনি সেজন্যই যা খুশি তাই আচরণ আপনার সঙ্গে করতে পারছেন। এই শ্রেণী বৈষম্য হয়ত ইসলামী ব্যাংকের লোকেরাও নিজের অজান্তেই করছে।
ইসলামী ব্যাংকের ঋণ (Loan) পদ্ধতি ভাল কিন্তু এটি ভাল শুধু ব্যাংকারদের জন্য এবং ব্যাংকে বিনিয়োগকারী ধনকুবেরদের জন্য এবং জমিদারদের জন্য।
কেন এসব কথা?
এসব কথা এজন্য বলা যে, অন্য বাণিজ্যিক ও অন্যান্য ব্যাংক যেভাবে কাজ করে সেভাবেই কাজ করে ইসলামি ব্যাংক। তবে হ্যাঁ, তারা হালাল পদ্ধতি অনুসরণ করে। সুদকে হালাল মুনাফায় রূপান্তর করে, টাকা কোন হারাম টাকার সাথে মেশায় না।
এগুলো অবশ্যই ভাল দিক। প্রশংসনীয়। এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোও এটি স্বীকার করে যে ইসলামি ব্যাংক এর আইডিয়াটা বেশ ভাল। হিসাব নিলে দেখবেন বাংলাদেশের রাস্তা দখল করা বাড়িগুলোর অধিকাংশই ইসলামি ব্যাংকসমূহ থেকে ঋণ পেয়েছে।
এমনকি তারা রাজউকের অনুমোদন আছে কিনা, ড্যাপের নিয়ম মানা হয়েছে কিনা তাও দেখে নি। কংক্রিটের বস্তি বানাতে সাহায্য করেছে যা মোটেও পরিবেশবান্ধব নয়।
ইসলামী ব্যাংকের লোন পদ্ধতি
ইসলামি ব্যাংক ঋণ দেয় মুনাফার জন্য। তারা মূলত ঋণ গ্রাহকের নিকট পণ্য বিক্রি করে এবং মুনাফা করে। এটা খারাপ কিছু নয়। টাকাটা সুদী হয় না এবং নিরাপদ থাকে। গ্রাহক এক খাতের টাকা অন্যখাতে নেওয়ার সুযোগ পায় না।
কিন্তু এতসব দেখতে গিয়ে ব্যাংক শুধু ধনীদের উপকার করছে। কোন গরীব লোক সম্পদ বা সম্পত্তি না থাকলে এইসব ব্যাংক থেকে ঋণ পায় না। এটি অন্য ব্যাংকে হয় এমনটিও নয়। কিন্তু এর ফলে ইসলামের ধনী-গরীব বৈষম্য কমানোর মহান আদর্শ কোথায়?
যদি এই ব্যাংক বিনা জামানতে ঋণ দিত তাহলে আমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারতাম।
এই ব্যাংকে ঋণ পেতে হলে কী কী কাগজপত্র লাগে, কোন কোন খাতে ঋণ দেয়, এসব অন্য পোস্টে লেখা হবে হয়ত।