ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ ছাড়াই ফল ও সবজি তাজা রাখার নতুন উপায় আবিষ্কার


Fruits


ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স ও ন্যানোটেকনোলজি গবেষক ড. মুহাম্মদ মাকসুদ রহমান ও তার সহযোগীরা ডিম থেকে এমন এক কোটিং আবিষ্কার করেছেন, যা ফলমূল সতেজ থাকার স্বাভাবিক সময়কে বাড়িয়ে দিতে পারে। কমপক্ষে ৭দিন বাড়িয়ে দেয়। 

শাক –সবজি উৎপাদনে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করেন বাংলাদেশের কৃষকরা৷ এসব ব্যবহার করা হয় ফল-মূল উৎপাদনেও৷ আবার তা সংরক্ষণ এবং দীর্ঘদিন তাজা রাখতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ৷ যা মানব দেহের জন্য পুরোপুরিভাবে ক্ষতিকর।

ড. মুহাম্মদ মাকসুদ রহমান দেখলেন যে, দ্রুত পচনশীল হওয়ায় প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি নষ্ট হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। দ্য ডেইলি স্টার এক হিসেব দিয়েছে যে, সরবরাহ সমস্যার কারণে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর পূর্বে প্রায় ৬০ শতাংশ খাদ্য নষ্ট হয় সারা বিশ্বে। এই বিপুল পরিমাণের খাদ্য নষ্ট হওয়া ঠেকাতে পারলে খাদ্য সংকটের কারণে যারা খেতে পায় না তাদের উপকারে আসবে। তিনি শুরু করলেন গবেষণা।

ড. মুহাম্মদ মাকসুদ রহমান। যিনি যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের রাইস ইউনিভার্সিটির ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স ও ন্যানোটেকনোলজি বিভাগের গবেষক। তার দল দীর্ঘ গবেষণার পর দেখলেন যে, ডিমের প্রোটিনকে প্রসেস করার পর তা দিয়ে কোটিং হলে তা সবজি ও ফলকে দারুন সতেজ রাখে স্বাস্থ্যকরভাবে। 

বিবিসি বাংলার সাংবাদিক আফরোজা নীলার শোতে তিনি বলেন, মোমের কোটিংও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। যা আমেরিকাতে ব্যবহার করা হয়। এই কোটিং এডিবল নয়। তাই এডিবল কোটিং দরকার। 

ফল-সবজি সতেজ রাখতে কী কী উপাদান ব্যবহার করা হয়

হলুদ থেকে একটি উপাদান নেন তিনি। নাম কারকিউমিং
সেলুলোজ নিচ্ছেন গাছ থেকে । পরবর্তীকালে ব্যাকটেরিয়া থেকে নিবেন।
ডিম থেকে প্রোটিন


কীভাবে এই কোটিং ফলমূলে ব্যবহার করা হবে?

এটি ফল ও সবজিরে গায়ে স্প্রে করার মাধ্যমে দেওয়া যাবে। স্প্রে করার পর সেগুলো পচনকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকে দ্রুত কাজ করতে দিবে না।

Dr. Mohammad Maksud Rahman


ড. মুহাম্মদ মাকসুদ রহমান দাবি করেন যে, এটি পরিবেশবান্ধব ও পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।

পড়ুন: বাংলাদেশে ‘৬ লাখ টন গম রপ্তানি করবে’ ভারত

এটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে?

তিনি বলেন যে, অন্তত ৫ বছর সময় লাগবে এই কোটিং এর পাউডার বা স্প্রে বাজারে আনতে। এই  বিজ্ঞানীর ইচ্ছা বাংলাদেশে এই বায়ো-টেকনোলজির সরবরাহ করা। 


Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form