ক্রেতাকে বিশেষ সময়ে বিশেষ অফার দিয়ে পণ্যের প্রচার করার একটি প্রবণতা বিশ্বের সকল বাজারেই রয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে এই মার্কেটিং কৌশলের ব্যবহার।
কিন্তু এই কৌশলের অতি ব্যবহারের ফলে বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এখন গ্রাহকরা জানতে চাইছে যে, কীভাবে এই জাতীয় অফার সারাবছর দিয়ে যেতে পারে দেশের কিছু পণ্য বিক্রেতা কোম্পানি।
আমাদের ধারণা সত্যি হলো যে, এই পণ্যসমূহের সাথে যে পণ্যটি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে তার দাম পণ্যের মূল দামের সাথে যুক্ত করা থাকে। এটি ক্রেতাদের নিকট অপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির নামান্তর। যা দেশের অর্থনীতির জন্য মোটেও ভাল হতে পারে না। ক্রেতাদের বাড়তি খরচ হচ্ছে, ফলে অল্প আয়ের ক্রেতারা অন্য দরকারি পণ্য কিনতে পারছেন না।
পাশাপাশি বারবার একই জিনিস ফ্রি পাওয়ার ফলে ফ্রি পণ্যগুলো অব্যবহৃত থাকছে। আর এভাবে জিনিসপত্র অপচয় হচ্ছে এই নিম্ন আয়ের মানুষের দেশে।
পড়ুন: বাংলাদেশে ‘৬ লাখ টন গম রপ্তানি করবে’ ভারত।
এই তালিকায় ক্লিনিং কেমিক্যাল পণ্য, শিশু খাদ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি রয়েছে। এসব পণ্যের বাজারমূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক ধাপ বেশি বিধায় এগুলোর পুনরায় মূল্য ঠিক করা প্রয়োজন।
মগের মুল্লুকের মত যে যেমন পারছে জিনিসপত্রের দাম রাখছে এমনটা চলতে পারে না।