নতুন নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরু করছে অল্পদিনের মধ্যেই। সংলাপে সকলের কথা শুনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যয় তাদের। কিন্তু তারা কি আসলেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবে কিনা সেটি নিয়ে নানা মহলের জল্পনা কল্পনা চলছে।
বিরোধীরা বলছে দলীল সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ভয়হীনভাবে কাজ করতে পারবে না। যদি সেরকমই হয় তাহলে তো নির্বাচনকালে একটি ভিন্ন সরকার থাকতে হবে। যেটি অনেকটা নির্দলীয় সরকার। কয়েক বছর আগে কোর্টের রায়ের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়েছে।
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাবককে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল এবং কারাগারে তার মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি রয়েছে আদালতের। এসব বিষয়কে অনেকে রাজনৈতিক বলে মনে করেন। কিন্তু তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যেন তার মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয়ে গেল।
এখন যারা নির্বাচনকালীন ভিন্ন সরকারের কথা বলছেন তারা মূলত তত্তাবধায়ক সরকার এর কথাই বলছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি এমনই যে এছাড়া উপায় নেই।
নির্বাচন এর আগে সংলাপ একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব ও দাবি দাওয়া শোনেন নির্বাচন কমিশনারগণ। তারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
দিবসে ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও রাতেই ব্যালট বাক্সে সিল মেরে ভোট ভেতরে রাখা হয়। এই ঘটনা বাংলাদেশে বারবার ঘটছে। এগুলো গণতন্ত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী। অনেকেই বলছেন যে দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
গণতন্ত্র খুব দরকারী কিছু এরকমটা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় না। যাই হোক সংলাপ সফল হোক। যদিও কিছু দল সংলাপে অংশ নিচ্ছে না।