বোটানিক্যাল গার্ডেন লেক ঘুরে আসুন



বোটানিক্যাল গার্ডেনে সুন্দর সুন্দর কিছু লেক বা হ্রদ আছে আছে। মনোরম আর সুন্দর লেকগুলো দেখে আসুন দিন কয়েকের মধ্যেই। রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন এর অবস্থান। এটি ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা’র পাশেই অবস্থিত। 

ঢাকা শহরের এই গার্ডেনের প্রবেশমুখে হাতের ডান দিকেই একটি মনোমুগ্ধকর সবুজের দেয়ালে সাজানো লেক বা হ্রদ রয়েছে। এটি কৃত্রিম হ্রদ। অসাধারণ সুন্দর হ্রদ এটি। একপাশ থেকে শুরু করে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে আসা যায়। তবে এর ওপর একটি ছোট্ট পুল বা সেতু রয়েছে। এর দুই পাশ বন্ধ থাকে। ফলে এর ওপর হাঁটা যায় না।

এছাড়াও গার্ডেনের কেন্দ্রবিন্দু থেকেও দূরে উত্তর দিকে একদম বরাবর গার্ডেনের অপর প্রান্তে আরেকটি লেক রয়েছে দেখার মত। তার ডান দিকটায় টিলা আছে। এছাড়াও লেক রয়েছে গার্ডেনের বাম দিকেও।

লেকগুলোর পাড়ে হাঁটতে বেশ আনন্দের লাগে। চমৎকার লাগে। গার্ডেনের গাছগুলো খুব বড় বড়। এগুলোর পরিচয় জানাও বেশ কঠিন। ফুল ফল দেখাও কষ্টকর। বিদেশের বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছগুলো যেভাবে সাজানো থাকে। এখানে সেরকমটি নয়। তবে দিন দিন এর উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে এই গার্ডেনের লেকগুলো মন জুড়িয়ে দিতে পারবে।

বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রকৃত নাম জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। এটাকে ইংরেজি ভাষায় লেখা হয় বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম। ২০৮ একর জায়গার ওপর এই লেকটি করা হয়। প্রায় ৮০০ প্রজাতির বৃক্ষ এখানে রয়েছে। এটি মূলত উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের বৃক্ষ গবেষণা কেন্দ্র।

বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবস্থানের সময় সূচী

মার্চ থেকে নভেম্বর

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত


পড়ুন: আইস প্ল্যান্টে যখন প্রথম ফুল হয়


বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশের আগে টিকিট কিনতে হয়। এর দাম ২০ টাকা (আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২২)। এই গার্ডেনের ভেতরে খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যায়। ভেতরে কোন যানবাহন নেই। হেঁটে হেঁটে দেখতে হবে গার্ডেন। ক্ষুধা-তৃষ্ণা লাগতে পারে। ভেতরে খাবারের দোকান রয়েছে। এগুলোতে দাম একটু বেশি হতে পারে। গার্ডেনের বাইরে কিছু খাবারের দোকান আছে এগুলোতে অস্বাস্থকর পরিবেশ এবং এগুলোর কর্মীদের ব্যবহার অপরিচিতদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। তাই সাবধান থাকবেন।

বোটনিক্যাল গার্ডেনের বাইরের রাস্তার ফুটপাথ নেই। যেটি রয়েছে সেটিতে ময়লা ও দুর্গন্ধের জন্য এবং নিরাপত্তার দিক থেকে হাঁটার উপযুক্ত নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form