মানহীন সাহিত্য বাজারে গেলে তা উপকারতো দূরে থাক পাঠকদের ক্ষতি করতে পারে। এরকমটা যে হয় এটা বই প্রিয় মানুষেরাই বেশি করে জানেন। কখনো কখনো বই পড়ে সময় নষ্ট হয়।
কবি সাহিত্যিকগণ তাই বলেন-বই কেবল পড়লেই হবে না। বই পড়ার আগে ভাল বই বাছাই করো। কারণ বই বাছাইও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বইমেলায় মানহীন বই যে বের হচ্ছে। তার কী হবে!
অনেক লেখক এটাকে মানে সকল ধরণের বই বাজারে আসাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। তারা এটা বলছেন মানুষের বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে। আবার অসংখ্য সাহিত্যবিশারদ এসবের চরম বিরোধীতা করছেন। তাদের দাবি এভাবে সামগ্রিকভাবে সাহিত্য ঠিক মানদণ্ডের অভাবে ভোগে। নতুনরা যদি একটি খারাপ বই থেকে শেখে তাহলে এর ফলাফল বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ বা অন্ধকার যুগের মত হবে।
বইমেলা ছাড়াও বাজারে ভাল বই আসা প্রয়োজন। বই মেধা ও মননের বিকাশ ঘটায়। কিন্তু মনন কোনদিকে যাচ্ছে সেটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আর যাই হোক বটতলার পুঁথিকে তো আর সাহিত্যের মডেল বলা যায় না।
ভাল মডেলের দেখা না পেলে নতুন প্রজন্মের কলম থেকে বের হবে অসাড় বিষয় আসয়। এগুলো জাতির বা সাহিত্যের জন্য কোন কাজে লাগে না।
বাজার থেকে নিম্নমান এর বই সরাতে প্রথমেই একটি কমিটি দরকার হবে। যারা বইয়ের মান বলে দেবে গুণের ভিত্তিতে। এর ফলে বইয়ের বাজারে অল্প মানের বই ঢোকানো বন্ধ করা যাবে। বিশেষ করে বই মেলা থেকে।
বই যেন হয় বইয়ের মত। বই পড়ার অভ্যাসের সাথে সাথে। বই বাছাইয়ে সেরা বইগুলোকে আলাদা করার অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।
একটি ভাল বই একজন ভাল বন্ধুর মত। ভাল বন্ধু যেমন সাহায্য করে তেমনি ভাল বই সমস্যা কাটাতে সহায়তা করে। এমনকি ভাল বন্ধুর মত সংগ দিতে পারে। এমনকি অসুস্থ হলেও বই পড়ে মন ভাল রাখা যায়।
একটি চ্যালেঞ্জ অবশ্য আছে এখানে। তা হলো ডিজিটাল বইয়ের মান ঠিক না থাকলে তা কীভাবে হটানো যাবে।