যুদ্ধ বন্ধ হলে যুদ্ধরত দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি কমবে উভয় দেশেরই। এরা কখনোই রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে পেরে উঠবে বলে মনে হয় না। পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক অবরোধের ফলে রাশিয়াকে বেশ বড় সমস্যায় পড়তে হবে। আবার রাশিয়া ও যুদ্ধরত দেশটি নির্ভর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় প্রভাব পড়বে। যদি যুদ্ধ বন্ধ হয় তাহলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভোগান্তি কমবে। এই যুদ্ধ বন্ধ হলে বিশ্বের সাধারণ মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচবে।
এটি এমন এক দেশ যার খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তারা বিভিন্ন দেশে খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি করে থাকে। দেশটি ন্যাটোর সদস্য হওয়ার চেষ্টা করেছে। ন্যাটোর সদস্য নয়। ফলে ন্যাটো এই যুদ্ধে জড়াবে বলে মনে হচ্ছে না। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, প্রভৃতি দেশগুলো এই যুদ্ধে জড়ালে নিশ্চিতভাবেই একে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলা হবে।
রাশিয়াও একটি রপ্তানিকারক দেশ। তারা তেল ও গ্যাস রপ্তানি করে বিভিন্ন দেশে। রাশিয়া নিজে অন্যান্য দেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানি করে। এসব কাজে নিশ্চিতভাবেই অনেক পরিবর্তন আসবে। বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মধ্যে এই যুদ্ধে অন্য বাজার দেখার প্রবণতা দেখা যাবে। পাশাপাশি রাশিয়া তার রাজনৈতিক ইতিবাচক ইমেজ হারাবে অনেকটাই। এর জন্য অনেকে পশ্চিমা বিশ্বের মিডিয়া প্রভাবকে দায়ী করবেন হয়ত।
যুদ্ধটা বন্ধ হওয়া উচিত, কারণ তাদের নিজ দেশের মানুষের জানমালের বিষয়ে আলোকপাত করা বেশি দরকারি। রাশিয়ান বাহিনী সেখানে চূড়ান্ত সমাধানের আগেই তাদের সঙ্গে একটি সমঝোতা অনেক রক্তপাত দেখে মুক্তি দিতে পারে।
যদিও একটি স্বাধীন দেশের ওপর এধরণের অযুহাতে রাশিয়ার হামলা চালানোর ঘটনা আধুনিক বিশ্বে কাম্য ছিলনা বলে বিশ্ববাসী বলেন।
পড়ুন: পশ্চিমারা কথা না রাখায় পরমাণু কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে ইরান।