ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে “ইলিশের বাড়ি” নামে ডাকা হয়। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা ছিল বৃহত্তর কুমিল্লার একটি অংশ।
এই জেলার মানুষ আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত এমন কথা শোনা যায়। এই কথার সত্যতা যেন মিলে পদ্মা-মেঘনায় বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ আসার ধারণার সাথে। অতিথি ইলিশ তাই চাঁদপুরে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে।
বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। ১৯৮৪ সালে চাঁদপুরকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করে স্বাধীন বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।
“ইলিশের বাড়ি” ডাকা হয় কেন চাঁদপুরকে?
বাংলাদেশে চাঁদপুরের নদীতে পাওয়া ইলিশগুলো খেতে ভাল এমন একটি ধারণা সারাদেশে ছড়িয়ে আছে মানুষের মুখে মুখে। আশ্চর্য কারণে বঙ্গেপসাগর থেকে ছুটে আসা মাছগুলো এখানে সাঁতরে বেড়ায়। এখানে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে। জেলেরা সেই মাছ বিক্রি করে ছোট-বড় বাণিজ্যিক শহরগুলোতে। তাই চাঁদপুরকে বলা হয় ইলিশের বাড়ি।
বলা হয়ে থাকে চাঁদপুরের ইলিশ খুব সুস্বাদু। মূলত মেঘনার ইলিশ কিংবা পদ্মার ইলিশ সুস্বাদু। বাজারে চাঁদপুরের ইলিশের দামও কিছুটা বেশি রাখেন জেলেরা এবং মাছওয়ালারা।